আনস্টিচড কামিজ
ঐতিহ্যবাহী সূচিশিল্পের মধ্যে লাখনৌ স্টিচ অন্যতম জনপ্রিয় সেলাই । সেলাই টি যশোর অঞ্চলের শিল্পি রা বিশেষ ভাবে পারদর্শী।ইয়োক এবং ঝুলে নিখুত ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। মশ্রিন ১০০% সুতি ভয়েল কাপড়ের উপর ডিজাইনটি করা, যা ব্যাবহারে খুব আরাম দায়ক হবে। কাপড়ের এবং সুতার রং পাকা। ঐতিহ্যের সাথে আধুনিকতার সংমিশ্রনে ডিজাইনটি হয়ে উঠেছে অনন্য। যারা পরিবেশ বান্ধব, হাতের কাজের পোশাক পছন্দ করেন তাদের জন্য দারুন একটি পোশাক। পন্যটি যশোরের ঐতিহ্যবাহী সুচিশিল্পীরা ঘরে বসেসূচিকর্ম করেছেন।
প্রতি দিন ব্যবহারের জন্য কাঁথা।
জমিন জুড়ে কাঁথা ফোঁড়ের নাকশা করা আর চার পাশে নকশি ফোঁড় দিয়ে পাড় করা।
মুল্য-২০৯০ টাকা।যাবেন আমাদের শোরুম এবং
অনলাইন স্টোরে।
যশোরে ফ্যাশন হাউজ ফোঁড় এর উদ্বোধন করলেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস যশোর থেকে জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ফেরদৌস বলেছেন, দেশীয় কাপড় আর লোকজশিল্পের অনুপম নকশায় যশোরে নতুন একটি ফ্যাশন হাউজের জয়যাত্রায় আসতে পেরে আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই খুশি হয়েছি। উন্নত কাপড় আর বাংলার লোকায়তশিল্পের ছোঁয়া হাল ফ্যাশনের পোশাক এ অঞ্চলের মানুষের কাছে উপভোগ্য হবে বলে আমার বিশ্বাস। নায়ক ফেরদৌস শনিবার বেলা ১২ টার দিকে শহরের কাপুড়িয়াপট্টিতে ‘ফোঁড়’ নামক এ ফ্যাশন হাউজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, তারুণ্যের পোশাকের চিরায়ত আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে প্রতিষ্ঠানের তৈরি পোশাকগুলোর দামও সহনীয়মাত্রায় রয়েছে বলে তিনি জানান। ফ্যাশন হাউজ ফোঁড়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সহ-সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, প্রেসক্লাব যশোরের সাবেক সেক্রেটারি তৌহিদুর রহমান, যশোর অর্গানিক অ্যাগ্রোর পরিচালক মাহমুদ হাসান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহিন চৌধুরীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপসি'ত ছিলেন।
মন থেকে কাঁথা ফোঁড়ে লতাপাতায় ফুটিয়ে তুলেছেন রঙিন ফুল। তাঁর নাম মমতাজ, দক্ষ সূচিশিল্পী। সুই-সুতায় নকশা বোনার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন তিনি। তাঁর পাশেই অন্য প্রতিযোগীরা যশোর স্টিচ, নকশি, রিফুগরি, কলাবাতনসহ হরেক রকম ফোঁড়ে সুই-সুতা দিয়ে কাপড়ে ফুটিয়ে তুলছেন তাঁদের শিল্পীসত্তাকে। কপোতাক্ষ জাপানের সহযোগিতায় এই সূচিশিল্প প্রতিযোগিতার আয়োজন করে চারুপীঠ ও ফোঁড় নামের দুটি সংগঠন। যশোর শহরের চারুপীঠ প্রাঙ্গণে ১৪ মার্চ এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ২২ মার্চ চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা শেষে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিজয়ী সেলাই দিদিমণিদের এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে পুরস্কৃত করা হয়। এই দিদিমণিদের সেলাইকাজ দেখে জাপান থেকে আসা জাপানিজ কালচারাল একাডেমীর প্রিন্সিপাল ইয়ানো রিকো বললেন, 'বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে সূচিশিল্পীরাই ধরে রেখেছেন। তাঁদের মনে রঙের শেষ নেই। সেলাইকর্মগুলোতে সেই স্বপ্নের রঙ ডানা মেলে। তাঁরা মন থেকে কাপড়ে যে ছবি ফুটিয়ে তোলেন তা-ই হচ্ছে বাংলাদেশের নিজস্ব শিল্পকর্ম।